সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ফেনীতে নদীভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় শতাধিক ঘর-বাড়ি 

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে নদীভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় শতাধিক ঘর-বাড়ি 

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ধকল কাটার আগেই ফেনীর কালিদাস পাহালিয়া নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঘর-বাড়ি বিলীনের আশংকায় শতাধিক পরিবার উদ্বেগে রয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের উত্তর নেয়ামতপুর গ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা। মনির উদ্দিন ভূঞা বাড়ির বাসিন্দারা বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়-চোপড় শুকাতে ব্যস্ত। 

এর মধ্যেও সবার চোখে-মুখে আতঙ্ক। বাড়ির পাশ ঘেঁষা কালিদাস পাহালিয়া নদী। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ভাঙনরোধে নদীর পাড়ে ফেলা ব্লক ও জিও ব্যাগ পানির প্রবল স্রোতে তলিয়ে গেছে। ফলে সেখানকার অন্তত ১২০ পরিবারে আতঙ্ক রয়েছে।

মনির উদ্দীন ভূঞা বাড়ির বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন মালদ্বীপ থাকেন। কদিন আগে ঘর হাটুপানিতে নিমজ্জিত ছিল। এখন হঠাৎ বাড়ির পাশে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।

স্থানীয় বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সাইমুন জানান, বর্তমানে বসতঘর থেকে ৭ ফুট দূরত্বে নদী চলে এসেছে। এখনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে শতাধিক ঘর-বাড়ি ও মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি অধ্যাবধি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর নেয়ামতপুর এলাকা ছাড়াও পাশ্ববর্তী লেমুয়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে ফেনীস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এদিকে ছনুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ টংগীরপাড় এলাকার কালিদাস পাহালিয়া নদীর পাড় ঘেষে তৈরি হওয়া অন্তত ৫০ ঘর বিলীন হয়ে যায়। আরও শতাধিক ঘর বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মাথা গোঁজানোর শেষ সম্বল বসতবাড়ি বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে ঘুরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, নেয়ামতপুর, টঙ্গিরপাড় ও লেমুয়া ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ভাঙনের দৃশ্য দেখেছি। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে।

টিএইচ